Wednesday, December 18, 2019

বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশন ও জাতীয় কিষাণি শ্রমিক সমিতির উদ্যোগে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালন

অভিবাসীকর্মীরাও অবশ্যই সম্মান ও নিরাপত্তা আশা করে

১৮ ডিসম্বের, ২০১৯। আজ বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিউট (ব্রি) তে অনুষ্ঠিত এক সামবেশে অভিবাসী কর্র্মীদের সম্মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশন ও জাতীয় কিষাণি শ্রমিক সমিতির নেতৃবৃন্দ। আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তারা এসব কথা বলেন। সমাবেশে উল্লেখ করা হয়যে,  ৪ ডিসেম্বর ২০০০ তারিখে গৃহীত জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিবছর ১৮ ডিসেম্বর সারা বিশ্বে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসটি পালনের উদ্দেশ্য হচ্ছে অভিবাসীকর্মীদের নিজেদের দেশের ও কর্শরত দেশের অর্থনীতিতে তাদের অবদানের জন্য স্বীকৃতি প্রদান এবং তাদের মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা।

সমাবেশে গোলাম ছরোয়ার বলেন, অভিবাসী হওয়ার ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে বাংলাদেশিদের অবস্থান ষষ্ঠ। ২০১৯ সালের এক হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রায় ৭৮ লাখ মানুষ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাস করছেন। তাঁদের বেশির ভাগই জীবিকার তাগিদে শ্রমিক হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে অস্থায়ীভাবে অভিবাসন নিয়েছেন। আবার কেউ উন্নত জীবনের প্রত্যাশায় যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত দেশে স্থায়ী অভিবাসী হয়েছেন। তিন দশকের ব্যবধানে বাংলাদেশি অভিবাসীর সংখ্যা ৪০ শতাংশের বেশি বেড়েছে । এভাবেই বছরের পর বছর এ দেশের লাখ লাখ মানুষ জীবিকার তাগিদে ও ভালো থাকার আকাংখায় দেশান্তর হয়েছেন।

মামুন হোসেন বলেন,  বাংলাদেশিরাই শুধু অভিবাসী হন না, বাংলাদেশেও বিদেশিরা আসেন। মিয়ানমার থেকে বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাস্তুচ্যুত হয়ে শরণার্থী হিসেবে বাংলাদেশে বসবাস করছে। জাতিসংঘের হিসাবে, এমন শরণার্থীর সংখ্যা এখন ৯ লাখ ৩২ হাজার। নব্বইয়ের দশকে এই সংখ্যা এক লাখের কম ছিল। শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থানে আছে। শীর্ষে আছে পাকিস্তান। পাকিস্তানে প্রায় ১৪ লাখ শরণার্থী আছে।

নুরজাহান বেগম বলেন,  আমাদের অভিবাসীকর্মীরা শুধু বাংলাদেশের অর্থনীতিকেই চাঙ্গা করে রাখছে না, কর্মরত দেশগুলোর অর্থনীতিতেও মূল্যবান অবদান রেখে যাচ্ছে। আমাদের এই কর্মীদের ঘামের ওপরই ওই দেশগুলোর উন্নয়ন ঘটছে। তারাই ওই দেশগুলোর মানুষের জীবনযাত্রাকে করেছে সহজতর ও আরামদায়ক। তাদের ছাড়া ওই সব দেশ একটুও এগোতে পারে না। কিন্তু বিনিময়ে এই অভিবাসীকর্মীরা কি আদৌ কোনো সম্মান পাচ্ছে? মানব ব্যবসায়ী ও নিয়োগকর্তাদের শোষণ আর নিপীড়ন ছাড়া তাদের ভাগ্যে কিছুই জোটে না। সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয় লোভী দালালদের মাধ্যমে যাওয়া এবং অবৈধভাবে কমরত অভিবাসীরা। অন্যদিকে আমাদের নারী কর্মীরা হচ্ছে শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার।

সমাবেশের সভাপতি আব্দুল মজিদ বলেন, বাংলাদেশি অভিবাসীকর্মীদের ৮০ শতাংশই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এবং মালয়েশিয়ায় কাজ করছে। ওই সব দেশে অভিবাসীকর্মীদের অধিকার রক্ষার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাদের অধিকার সম্পূর্ণভাবে লঙ্ঘন বা অবহেলা করা হয়। অভিবাসীদের অধিকার ক্ষুণœ করা সত্তে¡ও ওই সব দেশের প্রশাসনের বদান্যতায় নিয়োগকর্তারা রয়ে যান ধরাছোঁয়ার বাইরে। অভিবাসীদের অধিকারসংক্রান্ত  কোনো আন্তর্জাতিক কনভেনশনের তোয়াক্কা করে না ওই সব দেশের মানুষ। এ ছাড়া স্থানীয় আদালত সে দেশের লোকজনকেই সমর্থন করে থাকেন। অর্থাৎ অভিবাসীকর্মীরা ন্যায়বিচার পায় না। আমাদের মনে রাখতে হবে যে অভিবাসীকর্মীরাও আমাদের মতোই মানুষ। তারা অবশ্যই সম্মান ও নিরাপত্তা আশা করে।




Bangladesh Agricultural Farm Labour Federation and National Women Farmers Association Observed the International Migration Day

Immigrant Workers Must Also Get Respect and Security

18 December 2019. Leaders of Bangladesh Agricultural Farm Labour Federation and National Women Farmers and Workers Association demanded respect and security of migrant workers at a rally held at Bangladesh Rice Research Institute (BRRI) today. They were speaking at an event organized to celebrate International Migrants Day. According to the rally, the day is celebrated all over the world on 18 December each year, according to the UN decision adopted on December 4 of 2000. The purpose of International Migrants Day is to recognize migrant workers for their contribution to the economy of their own country and to the country they are working in and to respect their basic human rights.
Speaking at the rally, Golom Sorowor said that Bangladeshis are sixth in the world in terms of migrant workers working in different countries. According to an estimate of 2019, about 75 lakh Bangladeshi people live in different countries of the world. Most of them have migrated temporarily to the Middle East as workers to earn a living. Someone has immigrated to developed countries like the United States, Canada, the United Kingdom, Australia, in hopes of a better life. In the span of three decades, the number of Bangladeshi migrants has increased by more than 40 percent. Thus, over the years millions of people have migrated to other countries for the sake of livelihood and the longing for good.
Mamun Hasan said Bangladeshis are not only migrants, but foreigners also come to Bangladesh. Large Rohingya people are displaced from Myanmar and are living in Bangladesh as refugees. As of the United Nations, the number of such refugees is now 9 lakh  32 thousand. In the nineties, that number was less than one lakh. Bangladesh is second in South Asia in providing shelter to refugees. Pakistan is at the top. There are about 14 lakh refugees in Pakistan.
Nurjahan Begum said, our migrant workers are not only boosting Bangladesh's economy but also contributing to the economy of the working countries. These countries are developing on the sweat of our people. They have made the lives of people in those countries easier and more comfortable. Without them, all those countries could not move forward. But are these migrants getting any respect at all? Human traders and employers have nothing to do with their destiny without exploitation and oppression. The most abused victims are greedy brokers and illegal immigrants. On the other hand, our women workers are victims of physical and sexual abuse.
The chair of the event, Abdul Mazid, said that  80 percent of Bangladeshi migrant workers are working in the Middle East countries and Malaysia. In those countries, there is not enough system to protect the rights of migrant workers. In most cases, their rights are completely violated or neglected. Despite undermining the rights of immigrants, employers remain outside the reach of the administration of those countries. The people of those countries do not favor any international convention on the rights of immigrants. In addition, the local court supports the people of that country. That is, migrant workers do not get justice. We have to remember that immigrant workers are just like us. They certainly expect respect and security.




Friday, November 29, 2019


কৃষক ও কৃষি শ্রমিকদের অধিকারের জন্য নিজেদেরকেই লড়াই করতে হবে, রাজপথে নামতে হবে। অন্য কারো আশায় বসে থাকলে হবে না বলে মন্তব্য করেছেন শিরিন আখতার এমপি।

আজ (শুক্রবার) ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশন ও জাতীয় কিষাণি শ্রমিক সমিতি কর্তৃক আয়োজিত “ বাংলাদেশে টেকসই কৃষি ও নিরাপদ খাদ্যের জন্য কৃষিতে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিষয়ক আইএলও কনভেনশন-১৮৪ অনুসমর্থন ও করণীয়” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির   বক্তব্যে শিরিন আখতার এই মন্তব্য করেন।

এসময় তিনি বলেন, আইএলও ১৮৪ অনুসমর্থনের জন্য প্রয়োজন হচ্ছে সবাইকে সচেতন করা, প্রচার করা এবং সংগঠিত করা।, আর সবচেয়ে বড় কথা শ্রমিক, কৃষকদের বুঝতে হবে এটা আমাদের কাজ।

আইইউএফ এর প্রতিনিধি নাসরিন সুলতানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশন এর অর্থ সম্পাদক গোলাম ছরোয়ার। তিনি বলেন মূলত তিনটি নতুন ধারণার মাধ্যমে সনদ ১৮৪ কৃষি শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার উদ্যোগটি নেয়। এই সনদ নিয়োগকর্তাদের উপর কিছু সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব অর্পন করে, কৃষি শ্রমিকদের অধিকারকে জোরালো করে এবং সরকারের উপর বাধ্যবাধকতা আরোপ করে কৃষি শ্রমিকদের জন্য নিরাপত্তা ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার কথা বলে।

এই সনদ কৃষিতে  নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি পর্যালোচনা করে কৃষি শ্রমিকদের ঝুঁকিপুর্ণ কাজ থেকে নিজেদের বিরত রাখার অধিকার দেয়। অন্যদিকে নিয়োগকর্তাদের জন্য ঝুঁকি যাচাই বাধ্যতামূলক করে দেয়। যদি ঝুঁকিপূর্ণ কোনও কিছু থাকে, সেক্ষেত্রে নিয়োগকর্তাকে সেই ঝুঁকি নিরসনের উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি কৃষি শ্রমিকদের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের আয়োজন করা এবং মারাত্মক ঝুঁকির আশংকা থাকলে বা ঝুঁকি তৈরি হলে সব কাজ বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে এই সনদে।

গোলাম ছরোয়ার আরো উল্লেখ করেন কৃষি শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে একটি জাতীয় নীতিমালা করতে সরকারগুলোকে আহবান জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে একটি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ নিয়োগ করে কৃষি শ্রমিকদের অধিকার ও দায়িত্বগুলো সুনির্দিষ্ট করে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশন এর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাহমুদুল হাসান মানিক, মজিবুল হক মুনির, লীলা খানম ও মামুন হোসেন।  সেমিনার থেকে নিম্মোক্ত সুপারিশ করা হয়ঃ

১. কৃষিতে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার উপর আইএলও কনভেনশন ১৮৪ অনুসমর্থন ও বাস্তবায়ন করা।
২. বিষাক্ত রাসায়নিক কীটনাশক আমদানি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা।
৩. কৃষি খামারের বাইরে নিয়োজিত কৃষি শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার দিতে হবে।







Thursday, October 17, 2019


খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য পরিবেশের জন্য হুমকি গোল্ডেন রাইস চাষাবাদের
অনুমতি না দেওয়ার দাবি জানিয়েছে কৃষি শ্রমিকদের সংগঠন।

গোল্ডেন রাইস- বিটা ক্যারোটিন এর পরিমান খুবই কম যা খুব দ্রুত নিঃশেষ হয়ে যায়। গোল্ডেন রাইস ধান হিসেবে প্যাকেটজাত করে নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রার মধ্যে সংরক্ষণ করতে হবে। উন্নায়নশীল দেশের দরিদ্র জনগণের মধ্যে ভিটামিন এর ঘাটতি পূরন এবং অপুষ্টি মোকাবেলায় সাহায্য করতে গোল্ডেন রাইস এর প্রচলনের যে যৌক্তিকতার কথা বলা হচ্ছে তা সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অফ ফুড এর প্রতিনিধি নাসরিন সুলতানা।

আজ (বৃহস্পতিবার) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত কৃষি শ্রমিক কনভেনশনে তিনি কথা বলেন।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি আরও দাবি করেন, গোল্ডেন রাইস প্যাকেটজাতকরনে এর দাম বাড়াবে। ফলে গরিব জনগোষ্টির পক্ষে উচ্চমূল্যের এই প্যাকেটজাত গোল্ডেন রাইস ক্রয় করে খাওয়া সম্ভব হবে না।  পুষ্টিকর চালের কথা বলে গোল্ডেন রাইস চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গোল্ডেন রাইস যে নিরাপদ এই জাতীয় কোন প্রমাণ বা গবেষোনাগারের কোন পরীক্ষা-নীরিক্ষার ফল গোল্ডেন রাইসের উদ্ভাবকেরা এখন পর্যন্ত দেখাতে সক্ষম হননি। গোল্ডেন রাইসের প্রচলন মূলত বাংলাদেশের বীজের বাজার দখল কৃষকদের এই বীজ ব্যবহারে প্রলুদ্ধ করার একটা ফাঁদ।  বাংলাদেশে গোল্ডেন রাইস প্রচলন হলে কৃষি কৃষকের চরম ক্ষতি সাধিত হবে।  বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তার উপর প্রভাব ফেলবে। গোল্ডেন রাইসের কোন পুষ্টিকর সুবিধা নেই। গোল্ডেন রাইস হল পুরোপুরি একটি ব্যাবসায়িক কৌশল। যা কৃষকের বীজ শেষ করে ফেলবে এবং সেই জায়গায় বানিজ্যিক বীজ এর স্থান করে দিবে। কোম্পানি প্যাটেন্ট গোল্ডেন রাইস এর বাণিজ্যিক প্রচলন বাংলাদেশের সমৃদ্ধ খাদ্য বৈচিত্র এবং স্থানীয় প্রচলিত বীজ ধ্বংস করার পাশাপাশি এদেশের পুরো কৃষি ব্যাবস্থার উপর কর্পোরেট নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি করবে।

আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে, বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশন জাতীয় কিষাণি শ্রমিক সমিতি কর্তৃক আয়োজিত কৃষি শ্রমিক কনভেনশনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন  মুজিবুল হক মুনির, গোলাম ছরোয়ার, মোঃ মামুন হোসেন, লিলা খানম।

কোস্ট ট্রাস্টের সহকারি পরিচালক মুজিবুল হক মুনির বলেন, প্রযুক্তি আমাদের উপকারের পাশাপাশি ক্ষতিও করছে। তার একটি বড় উদাহরণ গোল্ডেন রাইস। বাংলাদেশের কৃষকদের বড় সমস্যা কৃষি পণ্যের ন্যায্য দাম না পাওয়া। গোল্ডেন রাইসের পিছনে এত টাকা খরচ না করে যদি এর অর্ধেক টাকা দিয়ে কৃষি পণ্যের বাজারজাত করার পেছনে দিলে কৃষকরা লাভবান হতো। এছাড়াও তিনি বলেন, সরকারকে প্রমাণ করতে হবে গোল্ডেন রাইস নিরাপদ। গোল্ডেন রাইসের অনুমোদন দেয়ার আগে সরকারকে কৃষক এবং জনগণের স্বার্থের বিষটি ভাবতে হবে।

বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন বলেন, গোল্ডেন রাইস যদি অনুমতি দেয়া হয় তবে এদেশের দরিদ্র মানুষদের ক্ষতি হবে। বাংলাদেশের বহুল প্রচলিত সবচেয়ে জনপ্রিয় বীজ বিরি ধান-২৯ কে ধ্বংশ করার জন্যই গোল্ডেন রাইসের অনুমোদন দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।




Monday, September 9, 2019

Protests rally of Bangladesh Agricultural Farm Labour Federation and National Women Farmers and Workers Association demanding reject free trade and ensure food sovereignty.

UN Declaration on Rights of Peasants and Other People Working in Rural Areas Must be Implemented 

Gazipur, September 10, 2019. Bangladesh Agricultural Farm Labour Federation and National Women Farmers’ and Workers Association have organized a rally in Gazipur today demanding ending of free trade and upholding the food sovereignty. These two national organizations of farmers, workers and women farmers organized a rally at Bangladesh Rice Research Institute in Gazipur.
Speakers at the rally point out that Lee Kyung Hae, a South Korean farmer and farmer leader, committed suicide during the Ministerial Meeting of the World Trade Organization in Cancun, Mexico.  On September 10 when he did this, he had a banner on his neck that that read 'WTO Kills Farmers'. By his sacrifice he echoed the demands of farmers worldwide and people who are dependent on agriculture, and that demand is 'agriculture should be kept out of the WTO's free trade negotiations'. Lee was a self-reliant rice farmer in the Korean countryside, but he lost all because of the import of cheap rice and meat dumped by the WTO through a free trade agreement. Since then, the International Movement of the Farmers La Via Campesina observed September 10 as the International Struggle Day against the WTO and the Free Trade Agreement, paying tribute to Lee Kyung's sacrifice.
Speakers at the rally demanded the government to implement the UN Declaration on Rights of Peasants and Other People Working in Rural Areas. They said that, since the Bangladesh government has signed this declaration on principle, it is their responsibility to implement this UN declaration.
The organizers pointed out that, farmers, small scale food producers, who live in the villages, ensure food security and the sovereignty of public food. They feed 70% of the world's people. They produce quality food, create mostly rural employment, address the problems related to sustainable use of natural resources and climate change.
Speakers said that until the sixties, a farmer would not have to buy anything from the market except salt and kerosene to light the house. But with the use of excessive pesticides and chemical fertilizers in the name of green beetles, our agriculture, natural fisheries and biodiversity have all reached the gates of destruction. Therefore, we must reject the WTO and the Free Trade Agreement and unite for a farmer-led alternative.
Among others, Md. Mamun Hossain, Nurjahan Begum, Golam Sorowor were among the speakers.

Message by: Golam Sorowor, Phone: +8801711951709



Thursday, August 8, 2019

আজ, ০৮ আগস্ট, ২০১৯ তারিখ সকাল ১০ ঘটিকায় বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশন ও জাতীয় কিষানি শ্রমিক সমিতির আয়োজনে বহুজাতিক বীজ কোম্পানির আগ্রাসন বন্ধে এবং জি এম গোল্ডেন রাইসের প্রচলন বন্ধের দাবিতে গাজীপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বহুজাতিক কোম্পানি এবং প্রোপাগান্ডা ছড়ানোদের দিয়ে প্রচার করা হচ্ছে যে, গোল্ডেন রাইস ধানে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, আয়রন এবং জিংক রয়েছে। এই চাল রাতকানাসহ ভিটামিনের অভাবজনিত রোগ দূর করবে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, গোল্ডেন রাইসে বিটা ক্যারোটিনের পরিমাণ খুবই কম। যা ভিটামিনের অভাব মোকাবেলায় যথেষ্ট নয়। মূলত গোল্ডেন রাইস একটি জেনেটিক্যালি ইঞ্জিনিয়ার্ড রাইস বা জিনবৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করে আবিষ্কৃত এক ধরনের চাল।
গোল্ডেন রাইস প্রবর্তন বন্ধ করা, বিটি বেগুনের বাণিজ্যিক চাষাবাদ বন্ধ করাসহ সব জিএমও ফসল বন্ধ করা এবং কঠোর জৈব নিরাপত্তা আইন চালু করার দাবি জানানো হয় সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে।








Wednesday, April 17, 2019


Farmers and farm workers mobilize for the implementation of UN declaration on the rights of peasant and rural working class people on International Day of peasants’ struggle. 

On 17 April 2019
In memory of the massacre of 19 Brazilian landless peasants Bangladesh Agricultural Farm Labour Federation (BAFLF) and National Women Farmers and Workers association (NWFA) observed International Day of Peasant’s Struggle on April 17th. This year they are commutating the day just after the adoption of the United Nation Declaration on the Rights of Peasants and other People Working in Rural Areas by United Nations dated 17 December, 2018 Hundreds of Farmers, farm workers, peasant women attended the demonstration at Gazipur. BAFLF general Secretary presided over the meeting while NWFA member Sharmin Akter conducted the programme. Among other Golam Sorowor, MD Mamun Hossen, Md Ranju Khan of BAFLF and Nurjahan Begum, Sharmin Sultana of NWFA spoke at the mobilization.  From that demonstration the following demands were placeed for the implementation of UN declaration on Peasants’ right:

 

1.    The ownership of land is to be determined on the basis of the principal those who cultivate land are owners of that land.

2.    Recognition of Peasants women as farmers and ensure equal rights and control over land and other resources.

3.    Introduction and cultivation of GMO crops including GE Golden Rice and BT Brinjal to be stopped.

4.    To resist corporate aggression the use and import of GMO seeds, chemical pesticides should be banned. Incentive to be given to local farmers to protect local seeds and promote farmers’ control over seeds and territories.

5.    Ensuring food sovereignty rights of people through agrarian reform and social justice.

6.    Govt.  Must enhance the capacities of public sector in seeds productions and distribution and more allocation for BADC must be ensured.








Wednesday, February 27, 2019


Press release
26 February 2019, Gazipur
Human chain and memorandum to Agriculture Minister demanding
 to stop the introduction  of  GE Golden Rice

Today, on February 26, 2019, four organizations of farmers and agricultural workers have formed a human chain and rally to resist the aggression of multinational seed companies in Bangladesh and demanding to stop introduction of GE Golden Rice, that is harmful for health and environment. The human chain took place in front of Gazipur District Commissioner’s office, Gazipur. Following the human chain, a memorandum that includes four point demands was submitted to Agriculture Minister via   D C, Gazipur.

Md Mamun Hossen of BAFLF conducted the human chain and rally while BAFLF General Secretary Abdul Mazid presided over the same organized jointly by the National Women Farmers’ & Workers’ Association (NWFA), Bangladesh Agricultural Farm Labour Federation(BAFLF), Bangladesh Sramajibi Kendra (BSK), Development Education for Poor (DEP). Among others Golam Sorowor of BSK, Md Monirul Islam of DEP, Md Rahimuddin of BRRI workers’ association and Nasrin Sultana of NWFA spoke at the rally.

Nasrin Sultana said in her speech, Golden Rice is genetically engineered rice. The multinational companies’ paid scientists and propagandists are facilitating and promoting Golden rice telling that this rice contains plenty of vitamin- A, iron and zinc, which will enough to address the problem of Vitamin-A deficiency, including nyctalopia. But according to a report published by the USA’s Food and Drug Administration (US FDA), Golden Rice has a very low level of beta -carotene that is not enough to combat Vitamin A deficiency. Compared with golden rice, sweet potato has fifty times more beta- carotene level and can be grown on non-arable land. Besides, there is a lot of vitamin-A in common fruits and vegetables that are available and plentiful both cultivated and uncultivated sources in our country such as Sajnapata, Kolmi, Puisak , Data, Sweet gourd, bean, papaya, melon, jackfruit, mango, banana, pine apple  etc. Therefore, Golden Rice is not the right solution to eliminate Vitamin A deficiency; rather it is an ineffective solution. Syngenta and IRRI could not prove that the Golden Rice would really solve the problem and not cause the biological contamination of our local variety. Solving the problem of Vitamin-A deficiency is not a technological issue; rather it is related to poverty and balanced diet habit. Poverty and lack of purchasing poor are major cause of malnutrition including VAD. Introducing golden rice is not proper solution to address Vitamin-A deficiency. The introduction of Company patented the so-called Vitamin-A rice will make our agriculture production system more dependent on multinational companies and have serious impact on the traditional agricultural system. She explained Golden Rice commercialization equates to billions of worth corporate profit in expanse of public health, environment and farmers’ seed freedom. So Govt. must abstain from Golden rice commercial release.

BAFLF general secratery Abdul Mazid said  the multinational companies have targeted Bangladesh as laboratory  for the trail  of their GM crops and using people and farmers as guineapigs for their own interest. Unfortunately, the fact is world first GMO vegetable Bt. brinjal has been introduced in 2013 and the first GE Rice is in a stage very close to release in Bangladesh. GMO crops are controversial in terms of bio safety, environment and public health. Transgenic seed is developed by injecting genes of different species into another species. Scientists could not prove that transgenic seed will not cause biological contamination to local variety and any risk caused by consumption of the GM food crop. In view of these concerns, there are international rules and regulations in regards to the introduction of GE seeds. Those scientific and legal warnings are not followed properly in the introduction of GMO crops in Bangladesh. Syngenta and IRRI cannot give enough evidence in favour of any positive gain of gene incorporation from maize to rice. In the case of Golden Rice trail, there are considerable lacking of impartial assessment, transparent and independent safety research. Without ensuring the safety of the public health and environment, without protecting farmers’ interest, the main objective of the approval of Golden Rice for commercial cultivation is to serve multinational companies interest. If the Golden Rice is introduced in Bangladesh agriculture and farmers will affect dangerously, food security will be more vulnerable and will have serious effect on the food sovereignty.

After the human chain, memorandum was given to Agriculture minister via DC Gazipur for the implementation of four point’s demands that include:

1. The introduction Golden Rice has to be stopped.
2. Trail of all GMO crops presently going on must be concealed and commercial cultivation of Bt. Brinjal has to be stopped.
3. Ban on import and use of harmful chemical pesticides.
4. Update Bio Safety Rules 2012 and ensure its proper implementation.

Message sender
Golam Sorowor
On behalf of National Women Farmers’ & Workers’ Association (NWFA), Bangladesh Agricultural Farm Labour Federation (BAFLF), Bangladesh Sramajibi Kendra (BSK), Development Education for Poor (DEP)
Phone Number: 01718713906, 01711951709















Friday, February 22, 2019


Protest Rally against commercial release of Golden Rice in Bangladesh.

BAFLF and NWFA declared two months long protest activity to resist Golden Rice Commercialization.

Bangladesh Agricultural Farm Labour Federation (BAFLF) and National Women Farmers & Workers Association (NWFA) demand to stop GMO golden rice commercial release in Bangladesh. With the slogan ‘Stop golden rice! Defend local variety of rice!’ NWFA and BAFLF organized a protest a rally at BRRI campus, Gazipur.

BRRI is developing genetically engineered rice GR2E based on most productive rice variety of Bangladesh BRRI Dhan 29.This transgenic golden rice was developed by taking gene from maize and evolved it into BRRI Dhan29.After two years of confined field trails, multi- location field trails are going on. BRRI have sought regulatory approval from the government for an ‘un confined’ field test prior seeking release approval. Recently new agriculture minister declared ‘Golden rice is very close to release, it will be available soon in Bangladesh and environment ministry will give clearance to the rice for production in farmers’ field’. It is also said that golden rice cultivation will be started within two or three months.

BAFLF and NWFA  organized this protest rally to denounce government declaration of the approval of golden rice commercialization . BAFLF general secretary Abdul Mazid presided over the meeting while Md. Mamun of BAFLF conducted the same. Farmers &   agricultural workers were present the meeting to express their concerns about govt. plan to release Golden rice. Speakers said introducing GMO golden rice is not proper solution to address vitamin- A deficiency. Rather our ecology, biodiversity , food safety will be at great risk . Scientists could not prove that transgenic golden rice will not cause biological contamination to local varieties and even could not give any evidence in favour of any positive gain of gene incorporation from maize to rice. It may cause serious threat to local high yielding popular rice variety.

Abdul Mazid of BAFLF  said the paid scientists and transnational companies agents are spreading the propaganda that Golden rice is good enough to meet half of rice eating consumers daily deficiency of vitamin- A and it would be of the  same price  as other rice variety once released for commercial farming in Bangladesh. The experience of Bt. Brinjal  proved that it is not true. It is a trap of taking control over our seed market and making our agricultural production system completely dependent on transnational companies. He explained that GMO seed are patented. In the case of Bt. Brinjal at first farmers had been given free seeds along with inputs cost, fertilizer, pesticides and cash money. But now Bt. Brinjal seed are seven times higher in price than normal Brinjal seeds. So the main intention of introducing GMO crops in Bangladesh one after another is to make more corporate profit in expanse of consumers’ health and farmers’ seed freedom. It will affects our food security and food sovereignty. This cannot be allowed.

Lila Khanom of NWFA said Farmers don’t want GMO golden rice; people are alarmed with the news of govt. approval of Golden rice commercialization. In Bangladesh we have lot of sources of Vitamin –A  in common fruits and vegetables that are available from both cultivated and uncultivated sources and cheaper in price. She demanded Govt. must abstain from introducing Golden Rice as well as any GMO seeds. She added that ‘our protest against golden rice commercial release will continue’ both inside BRRI and all over Bangladesh.

From the protest rally, two months long protest activities programmes were declared that includes Human chain in front of DC office Gazipur and  giving memorandum to DC, Gazipur, Protest Rally in Dhaka and giving memorandum to Agriculture minister, press conference and national consultation in Dhaka and giving memorandum to prime minister.

Besides to strengthen effective resistance against GMO golden rice it was decided to form a national Forum with farmers organization, agricultural workers organization, civil society supporters and NGOs working on same issues.