“দৈনিক ভিত্তিতে সাময়িক শ্রমিক নিয়োজিতকরণ নীতিমালা, ২০২৫” বিভ্রান্তিকর,
অসম্পূর্ণ
এবং শ্রমিক শোষন স্থায়ী করার
অপকৌশল।
জনাব গোলাম ছরোয়ার তার লিখিত বক্তব্যে বলেন কৃষি ফার্ম শ্রমিক নিয়োগ ও নিয়ন্ত্রন নীতিমালা অনুযায়ী কৃষি ফার্ম শ্রমিকগণ তাদের সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। কিন্তু কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধিনস্থ গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো এই নীতিমালা অনুসরণ করলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ এই নীতিমালা মানছেন না। কৃষি মন্ত্রণালয় বিএডিসিতে কর্মরত অনিয়মিত শ্রমিকদের কৃষি ফার্ম শ্রমিক নিয়োগ ও নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা অনুযায়ী নিয়মিতকরণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক মন্ত্রণালয়কে অবহিতকরণের জন্য সুনির্দ্দিষ্ট করে বিএডিসি’র চেয়ারম্যানকে নির্দেশ প্রদান করা পরও বিএডিসি কর্তৃপক্ষ নিয়মিতকরণের আদেশ বাস্তবায়নে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। অথচ “কৃষি ফার্ম শ্রমিক নিয়োগ ও নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা-২০১৭” এর সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত “দৈনিক ভিত্তিতে সাময়িক শ্রমিক নিয়োজিতকরণ নীতিমালা, ২০২৫” নামে অসম্পূর্ণ ও বিভ্রান্তিমূলক নীতিমালা প্রকাশ হওয়ার পর বিএডিসিসহ কৃষি মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রানীসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানগুলো এই নীতিমালার ভুল ব্যখ্যা করে বিদ্যমান জনবলের (নিমিত ও অনিয়মিত শ্রমিক) ধরন সাময়িক শ্রমিক হিসেবে বিবেচনা করে সে অনুযায়ী সুবিধাদি প্রদান করা হবে বলে শ্রমিকদেরকে বলা হচ্ছে। “কৃষি ফার্ম শ্রমিক নিয়োগ ও নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা-২০১৭” লঙ্ঘন করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিতর্কিত এবং শ্রমিকদের জন্য ক্ষতিকর নীতিমালা বাস্তবায়ন করা হলে কৃষি ফার্ম শ্রমিকরা বিদ্যমান নিয়োগ অবসানের আর্থিক সুবিধা, ছুটি, উৎসব বোনাস, চিকিৎসা সুবিধা হতে বঞ্চিত হবেন বলে তিনি জানান।
গোলাম ছরোয়ার বলেন, জারিকৃত “দৈনিক ভিত্তিতে সাময়িক শ্রমিক নিয়োজিতকরণ নীতিমালা, ২০২৫” বাতিল এবং বিএডিসিতে কর্মরত শ্রমিকদের নিয়মিতকরণের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনতিবিলম্বে কার্যকর করার আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যর মধ্যে কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।