বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশন ও
জাতীয় কিষানী নারী শ্রমিক সমিতি উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত।
আজ ৮মার্চ ২০১৫,
বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশন ও জাতীয় কিষানী নারী শ্রমিক সমিতি যৌথভাবে আন্তর্জাতিক
নারী দিবস পালন করেন। সকাল ১০ টায় গাজীপুরস্থ বিআরআরআই শ্রমিক সমিতির কার্যালয়ের সামনে
নারী শ্রমিকরা সমেবেত হন। সংক্ষিপ্ত সমাবেশের পরে বিক্ষভ মিছিল বের করেন। দুপুর ১২
টার সময় সমিতির কার্যালয়ে নারী দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব
করেন নূরজাহান বেগম। সভায় বক্তারা নারী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন। তারা বলেন ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে
মজুরিবৈষম্য, কর্মঘন্টা নির্দিষ্ট করা, কাজের অমানবিক পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়ার্কের রাস্তায় নেমেছিলেন সুতা কারখানার নারী শ্রমিকেরা।
১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে
নিউইয়ার্কের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত নারী সমাবেশে জার্মান
সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন
হয়। এরপর ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক
নারী সম্মেলন। এ সম্মেলনে ক্লারা প্রতি বৎসর ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে
পালন করার প্রস্তাব দেন। সিদ্ধান্ত হয় ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ থেকে নারীদের সম-অধিকার দিবস
হিসেবে দিনটি পালিত হবে।এরই ধরাবাহিকতায় ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী
দিবস হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘ।
বক্তারা আরো বলেন,
বিশ্বের উন্নত দেশগুলো নারীদের সম্মানের চোখে দেখলেও আমাদের দেশের নারীরা আজও অবহেলিত।
এই অবস্থাথেকে মুক্তি পেতে হলে নারীর সমস্যায় নারীদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। যদিও আমাদের
দেশের প্রধানমন্ত্রী, সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার নারী।
সভাপতির বক্তব্যে নূরজাহান
বেগম বলেন, কৃষি ফার্ম শ্রমিকদের বর্তমান ৪ দফা দাবীর অন্যতম একটি দাবী হলো মাতৃত্বকালীন
ছুটি বর্তমান ৩ মাস থেকে বৃদ্ধি করে ৬ মাস করা। এই ব্যাপারে প্রয়োজনে সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধ
আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।