Friday, November 29, 2019


কৃষক ও কৃষি শ্রমিকদের অধিকারের জন্য নিজেদেরকেই লড়াই করতে হবে, রাজপথে নামতে হবে। অন্য কারো আশায় বসে থাকলে হবে না বলে মন্তব্য করেছেন শিরিন আখতার এমপি।

আজ (শুক্রবার) ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশন ও জাতীয় কিষাণি শ্রমিক সমিতি কর্তৃক আয়োজিত “ বাংলাদেশে টেকসই কৃষি ও নিরাপদ খাদ্যের জন্য কৃষিতে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিষয়ক আইএলও কনভেনশন-১৮৪ অনুসমর্থন ও করণীয়” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির   বক্তব্যে শিরিন আখতার এই মন্তব্য করেন।

এসময় তিনি বলেন, আইএলও ১৮৪ অনুসমর্থনের জন্য প্রয়োজন হচ্ছে সবাইকে সচেতন করা, প্রচার করা এবং সংগঠিত করা।, আর সবচেয়ে বড় কথা শ্রমিক, কৃষকদের বুঝতে হবে এটা আমাদের কাজ।

আইইউএফ এর প্রতিনিধি নাসরিন সুলতানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশন এর অর্থ সম্পাদক গোলাম ছরোয়ার। তিনি বলেন মূলত তিনটি নতুন ধারণার মাধ্যমে সনদ ১৮৪ কৃষি শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার উদ্যোগটি নেয়। এই সনদ নিয়োগকর্তাদের উপর কিছু সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব অর্পন করে, কৃষি শ্রমিকদের অধিকারকে জোরালো করে এবং সরকারের উপর বাধ্যবাধকতা আরোপ করে কৃষি শ্রমিকদের জন্য নিরাপত্তা ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার কথা বলে।

এই সনদ কৃষিতে  নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি পর্যালোচনা করে কৃষি শ্রমিকদের ঝুঁকিপুর্ণ কাজ থেকে নিজেদের বিরত রাখার অধিকার দেয়। অন্যদিকে নিয়োগকর্তাদের জন্য ঝুঁকি যাচাই বাধ্যতামূলক করে দেয়। যদি ঝুঁকিপূর্ণ কোনও কিছু থাকে, সেক্ষেত্রে নিয়োগকর্তাকে সেই ঝুঁকি নিরসনের উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি কৃষি শ্রমিকদের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের আয়োজন করা এবং মারাত্মক ঝুঁকির আশংকা থাকলে বা ঝুঁকি তৈরি হলে সব কাজ বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে এই সনদে।

গোলাম ছরোয়ার আরো উল্লেখ করেন কৃষি শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে একটি জাতীয় নীতিমালা করতে সরকারগুলোকে আহবান জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে একটি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ নিয়োগ করে কৃষি শ্রমিকদের অধিকার ও দায়িত্বগুলো সুনির্দিষ্ট করে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশন এর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাহমুদুল হাসান মানিক, মজিবুল হক মুনির, লীলা খানম ও মামুন হোসেন।  সেমিনার থেকে নিম্মোক্ত সুপারিশ করা হয়ঃ

১. কৃষিতে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার উপর আইএলও কনভেনশন ১৮৪ অনুসমর্থন ও বাস্তবায়ন করা।
২. বিষাক্ত রাসায়নিক কীটনাশক আমদানি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা।
৩. কৃষি খামারের বাইরে নিয়োজিত কৃষি শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার দিতে হবে।