শ্রমিকদের নিরাপদ কর্মক্ষেত্রের অধিকার বাস্তবায়নের জন্য লড়াই
চালিয়ে
যাওয়ার অঙ্গিকার সজীব গ্রুপ ওয়ার্কার্স
জাস্টিস কমিটির
বক্তারা আরো বলেন, নিরাপদ কর্মক্ষেত্র সকল শ্রমিকের একটি মৌলিক মানবাধিকার অধিকার। এই নিরাপদ কর্মক্ষেত্র নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা নিয়োগকর্তার। কর্মক্ষেত্রে নিয়োগকর্তারা সেই নিরাপত্তা প্রদানের জন্য তাদের বাধ্যবাধকতা পূরণ করে কি না এবং সে সমস্ত শিল্পে শ্রমিকদের জন্য কাজ করা নিরাপদ কি না তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের জীবনহানি এবং ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার দায় সরকারও এড়াতে পারে না।
সমাবেশে বলা হয়, সজীব গ্রুপের কারখানায় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় নিহত ও ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিক পরিবারের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয় নাই এবং কারখানাটি এখনও নিরাপদ না। তা সত্বেও সেখানে শ্রমিকদেরকে দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। হাসেম ফুডস এর ঘটনা একটি উদাহরন মাত্র। অভিযোগ রয়েছে অনেক কারখানায় ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপদজ্জনক পরিবেশে শ্রমিকদেরকে দিয়ে এখনও কাজ করানো হচ্ছে।
মানববন্ধন থেকে শ্রমিকদের নিরাপদ কর্মক্ষেত্রের অধিকার বাস্তবায়নের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গিকার ব্যক্ত করে দাবি জানানো হয় শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং হাসেম ফুডস কারখানায় শ্রমিক হত্যাকান্ডের ঘটনা পুনরাবৃত্তি রোধে ১০ জুন ২০২১ আন্তর্জাতিক লেবার কনফারেন্সে সরকারের প্রতিশ্রæত আইএলও রোডম্যাপ বাস্তবায়নে ত্রিপক্ষীয় তদারকি কমিটি গঠনের করা; যে কোন শিল্প কলকারখানায় নিহত ও আহত তথা ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিক ও তাদের পরিবারকে আইএলও কনভেনশন ১২১ অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং শ্রমিকের নিরাপদ কর্মপরিবেশ প্রদানে ব্যর্থ সজীব গ্রুপকে আগুনে পুড়িয়ে শ্রমিক হত্যা এবং আহত করার দায়ে শাস্তির ব্যবস্থা করা।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সজীব গ্রুপ ওয়ার্কার্স জাস্টিস কমিটি সদস্য সচিব গোলাম ছরোয়ার, পিভিএম এমপ্লইজ ইউনিয়ন এর সভাপতি কামরুল হাসান পলাশ, জাতীয় কিষাণী শ্রমিক সমিতির সভাপতি লিলা খানাম, নেসলে এমপ্লইজ ইউনিয়ন এর সভাপতি মোঃ আব্দুল মান্নান, কোকাকোলা এমপ্লইজ ইউনিয়ন এর সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নূরে আলম, বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশন এর সহ সাধারণ সম্পাদক মোঃ মামুন হোসেন এবং জাস্টিস কমিটির অন্তর্ভুক্ত ইউনিয়ন প্রতিনিধিবৃন্দ।