আজ ১৬ অক্টোবর ২০১৬, বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশন ও জাতীয় কিষাণী শ্রমিক সমিতির উদ্যোগে বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে, বিক্ষোভ মিছিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, আমরা মনে করি অনেক অনেক পদ্ধতির মাঝে জিএমও হচ্ছে একটি পদ্ধতি। এই প্রযুক্তির জন্য নির্ভর করতে হবে বিদেশী কোম্পানীগুলোর উপর। ফলে বাংলাদেশের কৃষকের হাত থেকে বীজ গুলো ধীরে ধীরে চলে যাবে বিদেশী কোম্পানী গুলোর কাছ্। জিএম শষ্যের বীজের জন্য নির্ভর করতে হবে বিদেশী কোম্পানী গুলোর উপর। আমাদের কৃষি শিল্পকে জিম্মি করে ব্যবসা করবে বিদেশী কোম্পানী গুলো। আমাদের অর্থনৈতিক দুর্বলতার কারণে উন্নত দেশ গুলো তাদের জিএম ফসলের প্রভাব দেখার জন্য আমাদের দেশকে বেছে নিয়েছে। সাহায্যের নামে জিএম ঢুকিয়ে দিচ্ছে আমাদের নিরীহ মানুষের খাদ্য তালিকায়। আমরা গিনিপিগের ভুমিকায় রয়েছি না জেনেই। আমরা প্রতিদিন প্রতিনিয়ত যে পপকর্ণ বা সয়াবীন তেল খেয়ে থাকি, এ গুলোও কিন্তু—– জিএম ফসল এবং এরই মধ্যে আরও যোগ হয়েছে বিটি বেগুন ও যোগ হওয়ার পথে গোল্ডেন রাইচ। ধারণা করা হয়, জিএম সয়াবীন তেলের ব্যবহার অধিক্যের কারনে আমাদের দেশে উদ্বেগজণক ভাবে ক্যান্সার রুগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
যেহেতু এখনো জিএমও এর ক্ষেত্রে কোন রকম লেবেলিং করা হয় না। অর্থাৎ জিএমও প্যাকেটে, বা বর্তমানে বাজারে বিক্রয়কৃত বেগুন আলাদা ভাবে জিএমও হিসেবে বিক্রয় করা হচ্ছে না। সেহেতু জিএম এর স্বাস্থ্য ও পরিবেশের উপর দীর্য মেয়াদী কি প্রভাব ফেলবে তা মাপার এখনো কোন স্কেল আমাদের হাতে নেই। আমাদের দেহে ডিডিটির মারাত্মক ক্ষতি করে, তা জানতে আমাদের ৩০ বছর লেগেছিল। তেমনি হয়তো জিএম এর ক্ষতিকারক দিক গুলো জানতে আমাদের বেশ অনেক বছর লাগবে কারণ আমরা এর ভয়ংকর দিক সাথে সাথে জানতে পারি না। প্রকৃত পক্ষে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যামে জিএম ফসল তৈরী অর্থ্যাৎ ফসলে মেনিপুলেশান করা, তাদেরকে স্বাভাবিক পরিবেশে অবমুক্ত করা এবং ঐ সকল উৎপাদিত জিএম ফসল আমাদের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা অবৈজ্ঞানিক, ঝুকিপূর্ণ এবং তা হবে দায়িত্বহীনতার পরিচায়ক।
তাই এখনই আমাদের প্রতিবাদী হতে হবে এবং জিএমও এর ক্ষতিকারক দিক গুলো সম্পর্কে এবং কৃষক ও জনসাধারনকে সচেতন করে তুলতে হবে।
No comments:
Post a Comment