ঢাকা, ১৬ অক্টোবর, ২০১৮। সমাজকল্যাণমন্ত্রী এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশে যে বিশ্বে অন্যতম বিপদাপন্ন দেশ সেটা এখন বৈজ্ঞানিকভাবেই প্রমাণিত। তাই আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা এবং দেশের খাদ্য সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত সকরার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা উল্লেখ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বর্তমান সরকার কিন্তু অন্যের দিকে না তাকিয়ে নিজেই জলবায়ু ট্রাস্ট করেছে, নিজস্ব অর্থায়নে। বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে জলবায়ু পরিবর্তন এবং খাদ্য সার্বভৌমত্বের উপর প্রভাব শীর্ষক সেমিনারটি সভাপতিত্ব করে বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অফ ফুড এগ্রিকালচার এন্ড এলাইড ওয়ার্কার্স এ্যাসোসিয়েশন-এর বাংলাদেশ সমন্বয়ারী নাসরিন সুলতানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন কোস্ট ট্রাস্টের মো. মজিবুল হক মনির। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি বিজ্ঞানী এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটটিউটের সাবেক মহাপরিচালক ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর নেতা আনিসুর রহমান মল্ল্কি। এতে আরও বক্তব্য রাখেন সেনারগা হোটেল কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল শরীফ লস্কর: জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হক আমিন, হাওর কৃষক নেতা অজিত পাল, নেস্্লে এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান নূর।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করতে গিয়ে মো. মজিবুল হক মনির বরলেন, এটা বৈজ্ঞানকিভাবেই প্রমাণিত যে, ধনী দেশগুলোর ভোগবাদী মানসিকতার এবং ভোগবাদী আচরণের নির্মম শিকার হচ্ছে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী কার্বন, যুক্তরাষ্ট্রে মাথাপিছু কার্বন উদগীরনের হার ১৭.৬২ মে. টন, রাশিয়ায় ১২.৫৫ মে. টন এবং চীনে ৬.৫২, অথচ বাংলাদেশে মাথাপিছু কার্বন উদগীরনের হার মাত্র ০.৩৭ মে. টন! জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করে খাদ্য সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে তিনি কিছু সুপটারিশ তুলে ধরেন, যেমন- কৃষিকে ডঞঙ এর আওতার বাইরে রাখা, দরিদ্র ভূমিহীন কৃষকদের মধ্যে খাস জমি বরাদ্দ দিতে হবে, একটি বাড়ি একটি খামারের মতো বিশেষ প্রকল্পে তাদের সম্পৃক্ত করতে হবে, দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষি শ্রমিক ও কৃষকদের জন্য ১০০ দিনের কর্মসূচির মতো বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে, আপদকালীন সময়ে বীজের চাহিদা পূরণে স্থানীয় পর্যায়ে কমিউনিটি বীজ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করতে হবে, নদী-খাল, চ্যানেলগুলোকে দখলমুক্ত রাখতে হবে।
অজিত পাল বলেন, হাওরের কৃষকরো কোন মৌসুমেই তার পুরো ফসল ঘরে তুলতে পারে না। সরকারের নীতি নির্ধারণে এই বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করতে হবে। আসাদুজ্জামান নূর: বুহজাতিক কোম্পানিগুলোকে জলবায়ু অভিযোজনে ভূমিকা পালন করতে হবে। আব্দুল মজিদ বলেন, বাংলাদেশে মানুষ আজ না খেয়ে মারা যাচ্ছে না। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় দেশে জলবায়ূ পরিবর্তন সহনশীল বিভিন্ন কৃষি জাত উদ্ভ¦ন করছে। দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খাদ্য বিএডিসি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, এই সংস্তাটির শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী করা এবং তাদের বেতন ভাতা বাড়ানো প্রয়োজন।
নাসরিন সুলতানা বলেন, ভবষ্যিত খাদ্য সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে কৃষির উপর বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর লোলুপ দুষ্টি আটকাতে হবে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার চক্রান্ত রুখে দিতে হবে।
http://www.risingbd.com/national-news/278115
জাতীয় প্রেস ক্লাবে জলবায়ু পরিবর্তন এবং খাদ্য সার্বভৌমত্বের উপর প্রভাব শীর্ষক সেমিনারটি সভাপতিত্ব করে বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অফ ফুড এগ্রিকালচার এন্ড এলাইড ওয়ার্কার্স এ্যাসোসিয়েশন-এর বাংলাদেশ সমন্বয়ারী নাসরিন সুলতানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন কোস্ট ট্রাস্টের মো. মজিবুল হক মনির। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি বিজ্ঞানী এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটটিউটের সাবেক মহাপরিচালক ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর নেতা আনিসুর রহমান মল্ল্কি। এতে আরও বক্তব্য রাখেন সেনারগা হোটেল কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল শরীফ লস্কর: জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হক আমিন, হাওর কৃষক নেতা অজিত পাল, নেস্্লে এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান নূর।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করতে গিয়ে মো. মজিবুল হক মনির বরলেন, এটা বৈজ্ঞানকিভাবেই প্রমাণিত যে, ধনী দেশগুলোর ভোগবাদী মানসিকতার এবং ভোগবাদী আচরণের নির্মম শিকার হচ্ছে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী কার্বন, যুক্তরাষ্ট্রে মাথাপিছু কার্বন উদগীরনের হার ১৭.৬২ মে. টন, রাশিয়ায় ১২.৫৫ মে. টন এবং চীনে ৬.৫২, অথচ বাংলাদেশে মাথাপিছু কার্বন উদগীরনের হার মাত্র ০.৩৭ মে. টন! জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করে খাদ্য সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে তিনি কিছু সুপটারিশ তুলে ধরেন, যেমন- কৃষিকে ডঞঙ এর আওতার বাইরে রাখা, দরিদ্র ভূমিহীন কৃষকদের মধ্যে খাস জমি বরাদ্দ দিতে হবে, একটি বাড়ি একটি খামারের মতো বিশেষ প্রকল্পে তাদের সম্পৃক্ত করতে হবে, দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষি শ্রমিক ও কৃষকদের জন্য ১০০ দিনের কর্মসূচির মতো বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে, আপদকালীন সময়ে বীজের চাহিদা পূরণে স্থানীয় পর্যায়ে কমিউনিটি বীজ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করতে হবে, নদী-খাল, চ্যানেলগুলোকে দখলমুক্ত রাখতে হবে।
অজিত পাল বলেন, হাওরের কৃষকরো কোন মৌসুমেই তার পুরো ফসল ঘরে তুলতে পারে না। সরকারের নীতি নির্ধারণে এই বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করতে হবে। আসাদুজ্জামান নূর: বুহজাতিক কোম্পানিগুলোকে জলবায়ু অভিযোজনে ভূমিকা পালন করতে হবে। আব্দুল মজিদ বলেন, বাংলাদেশে মানুষ আজ না খেয়ে মারা যাচ্ছে না। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় দেশে জলবায়ূ পরিবর্তন সহনশীল বিভিন্ন কৃষি জাত উদ্ভ¦ন করছে। দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খাদ্য বিএডিসি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, এই সংস্তাটির শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী করা এবং তাদের বেতন ভাতা বাড়ানো প্রয়োজন।
নাসরিন সুলতানা বলেন, ভবষ্যিত খাদ্য সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে কৃষির উপর বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর লোলুপ দুষ্টি আটকাতে হবে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার চক্রান্ত রুখে দিতে হবে।
http://www.risingbd.com/national-news/278115
No comments:
Post a Comment