Friday, September 22, 2023

 বিএডিসি শ্রমিকদের স্থায়ী করার সরকারের সিদ্ধান্ত, ফেডারেশনের দীর্ঘ সংগ্রামের একটি বড় অর্জন।

গত ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২ বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশন ১৩ দফা দাবি কৃষিমন্ত্রীর কাছে পেশ করে। দাবিগুলোর মধ্যে  রয়েছে অনিয়মিত শ্রমিকদের স্থায়ী করা, মজুরি বৃদ্ধি, গ্রাচুইটি সুবিধা বৃদ্ধি করা ইত্যাদি। দৈনন্দিন ভোগ্য পণ্যের বর্তমান উচ্চ মূল্য এবং মুদ্রাস্ফীতির কারণে বিদ্যমান মজুরি খুবই কম। এই স্বল্প মজুরিতে শ্রমিকদের তাদের পরিবার পরিচালনা করা এবং তাদের মৌলিক চাহিদা মেটানো খুবই কঠিন। স্থায়ী চাকরি, ন্যায্য মজুরি বৃদ্ধির পাশাপাশি নারী শ্রমিকদের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটি ১২০ থেকে ১৮০ দিন বৃদ্ধি করা দাবিও পেশ করা হয়।

দাবির বিষয়ে মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতকালে কৃষিমন্ত্রী প্রতিশ্রæতি দেন যে তিনি ফেডারেশনের সাথে আলোচনা করে দাবিগুলি সমাধান করবেন। তবে আলোচনায় কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় ফেডারেশন আন্দোলন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়। সারা দেশজুড়ে ফেডারেশনের সদস্যরা গত ২১ জুলাই থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচী পালন করে।

যখন দেশব্যাপী আন্দোলন প্রতিবাদ চলছিল, ২৬ জুলাই, ২০২৩ তারিখে কৃষি মন্ত্রী ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দকে কর্মসূচী প্রত্যাহার করার জন্য অনুরোধ করেন এবং ১৩ দফা দাবি নিয়ে আলোচনার জন্য উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দেন।

গত আগস্ট কৃষি সচিবের সঙ্গে ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দের মিটিং হয় এবং ১৩ দফা দাবির সমাধানের জন্য একটি কমিটি গঠন করে।

অবশেষে, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখে কৃষি মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশনের দাবির বিষয়ে তিনটি অফিসিয়াল আদেশ জারি করে। যার একটি আদেশে বিএডিসি ফার্মে কর্মরত অনিয়মিত শ্রমিকদের স্থায়ী করার জন্য বিএডিসি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে যা ফেডারেশনের প্রথম অগ্রাধিকার ছিল।

২০০১ সাল পর্যন্ত বিএডিসিতে স্থায়ী শ্রমিক ছিল। ২০০১ সালে, বিএডিসি কর্তৃপক্ষ ১৬০৪ স্থায়ী শ্রমিককে তাদের চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিতে বাধ্য করে এবং তারা সমস্ত স্থায়ী পদ বাতিল করে। বর্তমানে বিএডিসির সকল শ্রমিক দৈনিক ভিত্তিতে কাজ করে। ফেডারেশন বিএডিসি সহ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন খামারগুলিতে কৃষি শ্রমিকদের স্থায়ী নিয়োগের জন্য সংগ্রাম করছে। বিএডিসি কর্মীদের স্থায়ী করার সরকারের সিদ্ধান্ত, এটা ফেডারেশনের দীর্ঘ সংগ্রামের একটি বড় অর্জন। উল্লেখ্য যে মজুরি বৃদ্ধি, কোটা এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে।








No comments:

Post a Comment